টুর্কু Turku – Åbo | |
---|---|
শহর | |
Turun kaupunki Åbo stad | |
দেশ | ফিনল্যান্ড |
অঞ্চল | Finland Proper |
উপ-অঞ্চল | Turku sub-region |
আয়তন | |
• পৌর এলাকা | ২৫২.৬৫ বর্গকিমি (৯৭.৫৫ বর্গমাইল) |
• মহানগর | ২,৩৩১.১ বর্গকিমি (৯০০.০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | |
• পৌর এলাকা | ২,৫২,৪৬৮[৩] |
• পৌর এলাকার জনঘনত্ব | ৯,৯৯৩/বর্গকিমি (২৫,৮৮০/বর্গমাইল) |
• মহানগর | ৩১৫ ৭৫১[৪] |
সময় অঞ্চল | ইইটি (ইউটিসি+০২:০০) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | ইইএসটি (ইউটিসি+০৩:০০) |
ডাক কোড | 20000–20960 |
ওয়েবসাইট | www.turku.fi |
টুর্কু (ফিনীয় উচ্চারণ: (ⓘ); সুইডীয়: Åbo (ⓘ)) ফিনল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমে অরা নদীর তীরে অবস্থিত একটি শহর। টুর্কু ১৩শ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ফিনল্যান্ডের সবচেয়ে পুরনো শহর। এছাড়া টুর্কু কয়েক শত বছর ধরে এটি ফিনল্যান্ডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৮০৯ সালে ফিনল্যান্ড রাশিয়ান সাম্রাজ্যের অন্ত্রর্ভুক্ত হলে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কি হয়। ১৮৪০ এর দশকের শেষ অবধি টুর্কু ফিনল্যান্ডের সবচেয়ে জনবহুল শহর ছিল। বর্তমানে ফিনল্যান্ডের দক্ষিণ অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
দীর্ঘ ইতিহাসের কারণে টুর্কু শহরে ফিনল্যান্ডের অনেক ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। একারণে ফিনল্যান্ডের ইতিহাসে টুর্কু বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এস্তোনিয়ার রাজধানী তালিনের সাথে টুর্কুকে ২০০১ সালে ইউরোপীয়ান ক্যাপিটাল অফ কালচার বা ইউরোপের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৬৬ সালে টুর্কুকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিস্মাস সিটি অফ ফিনল্যান্ড বলে অভিহিত করা হয়।[৫]
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে টুর্কু একটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র বন্দর। ব্যবসায়িক ও যাত্রী যাতায়াত উভয় দিক থেকে টুর্কু সমুদ্র বন্দর উল্লেখযোগ্য।[৬] ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ, টুর্কুর জনসংখ্যা ১৮৩৮১১[৭], যা ফিনল্যান্ডের ষষ্ঠ বৃহত্তম। এটি ফিনল্যান্ডের তৃতীয় বৃহত্তম নগর। টুর্কুর দাপ্তরিক ভাষা দুইটি। একটি হল ফিনিশ, আরেকটি সুইডিশ। এখানকার ৫.২% মানুষ সুইডিশ ভাষাকে মাতৃভাষা হিসেবে ব্যবহার করে।
টুর্কু শহরের প্রধান গণযোগাযোগ ব্যবস্থা হল বাস নেটওয়ার্ক। এই বাস নেটওয়ার্ক স্থানীয় গণযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ তত্ত্বাবধান করে। বাস পরিচালনা করে মূলত বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানি। টুর্কুর পার্শ্ববর্তি শহরগুলোতেও এই বাসগুলো চলে। টুর্কুতে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে, যা পরিচালনা করে জাতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে টুর্কুতে কোন ট্রাম যোগাযোগ নেই। একসময় এখানে ট্রাম বেশ জনপ্রিয় ছিল, কিন্তু ১৯৭২ সালে তা অকার্যকর হয়। তবে শহরের জন্য লাইট রেলের পরিকল্পনা সরকার করছে। এটি শহরের অভ্যন্তরে সেবা দেয়া ছাড়াও পার্শ্ববর্তি শহরগুলোতেও সেবা দিবে।